কুমিল্লার মেঘনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষনের প্রতিবাদ ও বর্বরোচিত হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শুক্রবার ছাত্র ও যুব সমাজের উদ্যোগে সেননগর বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধনে হেফাজতে ইসলাম, মাদ্রাসার শিক্ষক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র, যুবদল নেতা, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান লোদী মেঘনা থানার ওসিকে হুসিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আপনি একজনকে গ্রেফতার করেছেন এর সাথে আরো যারা জড়িত আছেন তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। নতুবা আমরা গোবিন্দপুর ইউনিয়নবাসী মেঘনা উপজেলার সর্বস্থানের জনগণ বিএনপিরসহ থানা ঘেরাও করতে বাধ্য হব।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক নাদিমুজ্জামানওসির উদ্দেশ্যে বলেন, যখন প্রবাসীর স্ত্রী ভুক্তভোগী অভিযোগ দিতে যায় প্রশাসন সরাসরি বলেন, এই ঘটনা মিথ্যা, যখন হাবিল গ্রেফতার হলো তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আজকে কেন প্রমাণ হলো তারা এই ঘটনার সাথে জড়িত। সেদিন কোন প্রমাণের ভিত্তিতে বলেছিলেন এই ঘটনা মিথ্যা? অভিযোগ দিতে গেছে ভুক্তভোগী সারারাত থানায় বসিয়ে রেখে সকালে মেডিকেল টেস্টের জন্য পাঠিয়েছেন। কেন মহিলাকে এতো হয়রানি করা হলো। আমরা যখন থানায় বসে ছিলাম কিছু রাজনৈতিক দলের লোকের ফোন আসতেছিল আমরা ধর্ষকের বাড়ী হামলা করেছি এসবের কোন সত্যতা নেই ধর্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমরা কেন হামলা মামলা শিকার হব, এর দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আসামীদেরকে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে থানা ঘেরাও করা হবে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মেঘনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, এ ঘটনায় প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আরো যারা জড়িত আছে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আশা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক নাদিমুজ্জামান, মেঘনা থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান লোদী, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ, সেননগর আব্বাসীয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব হাবিবুজ্জামান জানিছ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক শওকত আদনান, আবু সাঈদ হালিম, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও এলাকার সর্ব সাধারণ প্রমুখ।